বাংলাদেশে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের তথাকথিত রাজনীতি


সাইকোপ্যাথদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা যে অপরাধগুলো করে সে ব্যাপারে তাদের অনুশোচনা তো থাকেই না, বরং মনে মনে এরা প্রতিটি অপরাধ করার পর পৈশাচিক আনন্দবোধ করে। এজন্যই আসলে এরা সাইকোপ্যাথ, এরা স্বাভাবিক মানুষ না।

শেখ হাসিনা যে সাইকোপ্যাথ তা আমরা অনেক আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু এখন দেখছি হাসিনাকে যারা সমর্থন করতো (বিশেষ করে আওয়ামী লীগ) তারাও সাইকোপ্যাথ।

আপনি একটু খেয়াল করে দেখেন, এত বড় একটি গণহ'ত্যা ঘটানো এবং এটাকে নিঃস্বার্থভাবে সমর্থন দেওয়ার পরও এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ কিংবা অনুশোচনা দেখেছেন? উল্টো এরা এদের পলাতক মাফিয়া নেত্রীর উস্কানীমূলক কথাবার্তা শুনে দেশকে কিভাবে অস্থিতিশীল করে তুলবে আর বর্তমান সরকারকে কিভাবে ব্যর্থ প্রমাণ করতে পারে তা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।

এসব সাইকোপ্যাথদের ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে কিনা সেটা বাকি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তু আমি মনে করি এরা আগেও কখনো রাজনীতি করেনাই, ১৯৮১ সালে হাসিনা দেশে এসে আওয়ামী লীগ নামের সন্ত্রাসী দলটাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল শুধুমাত্র রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে তার ব্যাক্তিগত প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, রাজনীতি করা তার উদ্দেশ্য কখনো ছিলই না। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে বিগত ১৫ বছরও এই আওয়ামী লীগকে নিয়ে একটা মাফিয়া তন্ত্র টিকিয়ে রেখেছিল।

এখন ভবিষ্যতে ধরেন ২০ বছর পরও এদেরকে সুযোগ দিলে এরা এই মাফিয়াতন্ত্রটাই আবার কায়েম করবে। রাজনীতি করার মত নৈতিক আর মনস্তাত্ত্বিক যোগ্যতা এদের নেই। কারণ এরা স্বাভাবিক কোনো মানুষই না। এরা সাইকোপ্যাথ।

Popular posts from this blog

কল্পনায় কল্পিত বাস্তবতার তুমি | জোবায়ের আহমেদ নয়ন

6 Brilliant Tesla Inventions That Never Got Built

Top 5 SEO Trends of 2023