Posts

Showing posts from May, 2025

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও এনসিপির রাজনৈতিক অপরিপক্কতা

হাসনাত কি প্রমাণ দিতে পারবে যে বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকায় চলে? না, পারবে না। তাইলে সে কি জানতো না যে এটা বলার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে? অবশ্যই জানতো। তারপরও সে বললো কেন? কে বা কারা তাকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে উৎসাহিত করছে? প্যাঁচ লাগানোর পরে ঠ্যালা খাইয়া এখন আবার 'ঐক্য’ এর কথা বলতেছে। এই পুরা ঘটনায় তো লস ওদের নিজেদেরই হইছে। এরকম অপরিপক্ক আচরণ করলে ভবিষ্যতে এরা আরও পস্তাবে। বুদ্ধি বেশি, আক্কেল কম হইলে যা হয় আরকি।

বাংলা গানের একাল-সেকাল

আগে বাংলা গানে লেখকরা তার গার্লফ্রেন্ড কিংবা বউকে চাঁদ, নদী, পাহাড়, সমুদ্রের সাথে তুলনা করতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারতো না। যেমন: "তুমি চাঁদের জোছনা নও, তুমি ফুলের উপমা নও, নও কোন পাহাড়ি ঝর্ণা" কিংবা "চাঁদ, তারা, সূর্য নও তুমি; নও পাহাড়ি ঝর্ণা" এখানে উনারা চাইছিল তুলনাটা করতে কিন্তু তাদের নারীদের ভয়ে পারে নাই। 😋 আর এখন ডিজিটাল যুগে তুলনা তো করেই, বরং তুলনাটা আর চাঁদ, পাহাড়, সমুদ্র এমনকি পৃথিবীর মধ্যেও সীমাবদ্ধ নেই। তুলনা করতে গিয়ে মহাবিশ্বে চলে গেছে লেখকরা। যেমন: "তুমি আমার আঁধার রাতের একশ তারার মেলা" লাইনটার গভীরতা কিন্তু অনেক। যুগ আসলেই অনেক আগাইছে। 😝 মহাবিশ্বের পর লেখকরা কই যায় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। 😂

সুশীলরাই দেশ গঠনের কারীগর

শিক্ষিত আর সুশীলরাই যে কোনো দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে। কোনো চোর, ডাকাত, টোকাই, চাঁদাবাজ দেশের কাজে আসে না। বরং এদের দ্বারা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলিটরাই রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক হয়। এলিটরা আজকে যা চিন্তা করে, চোরেরা তা চিন্তা করতে পারবে ১০ বছর পর। তাই 'শিক্ষিত' কিংবা 'সুশীল' বলে কাউকে গালি দেওয়ার আগে চিন্তা করে নিতে হবে। চব্বিশে শিক্ষিত আর সুশীলরা বিরোধিতা শুরু করেছিল বলেই সরকার পতন সম্ভব হয়েছে। এর আগে বহুত চোর আর চাঁদাবাজ বহুত আন্দোলন করছে, পারে নাই। পরিস্থিতি না বুঝে রাস্তায় মারামারি করাকে 'রাজনীতি' বলে না প্রিয় রাজনীতিবিদগণ।

বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম

পৃথিবীর প্রতিটা সরকার জনগণের কাছ থেকে কিছু না কিছু লুকায়। গণমাধ্যম আর সাংবাদিকদের কাজ সেগুলো খুঁজে বের করা। সে হিসেবে গণমাধ্যমের সাথে সরকারের সম্পর্ক হওয়া উচিত সাংঘর্ষিক। কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টা পুরোপুরি উল্টো। এখানে সরকারের সাথে সাংবাদিক আর গণমাধ্যমের সম্পর্ক থাকে বন্ধুর মতো। বিগত হাসিনা স্বৈরাচার তৈরির দায়ও বাংলাদেশের 'বেশিরভাগ' সাংবাদিক কিংবা গণমাধ্যমগুলো এড়াতে পারবে না। হাসিনা সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, প্লট নেওয়া, অর্থ নেওয়া কয়জন গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? পূর্বাচল, কচুক্ষেতে প্লট পাওয়াদের বেশিরভাগই তো স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।

জুলাই আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশ

প্রশ্ন ছিল "ফুলগুলো সব লাল হলো কেন?" মানসিকতা ছিল "পরে যা হবার হবে, আগে তুই গদি ছাড়।" তারপর স্লোগান হলো "বিকল্প কে? আমি, তুমি, আমরা।" মাথায় তখন একটা জিনিসই কাজ করছিল, ইনসাফ বা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠিত করা তো দূরের কথা, কোথায় ন্যায়বিচার? সবাই পড়ে আছে তথাকথিত 'সংস্কার' এর মূলা নিয়া, আর 'নির্বাচন' নিয়া। অথচ সবার আগে হওয়া উচিত ছিল 'বিচার'।

রাজনীতিতে মার্কিন অ্যাম্বাসি কেন সেইফ?

জুলাই আন্দোলন চলাকালীন গ্রেফতার আর গুমের ভয়ে আসিফ মাহমুদরা মার্কিন অ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করে কেন আশ্রয় খুঁজছিল? বাংলাদেশে এত জায়গা থাকতে মার্কিন অ্যাম্বাসিকেই কেন তাদের সেইফ মনে হয়েছিল? ওদের সাথে আসিফদের সম্পর্ক কিভাবে হলো? আমরা তো জানতাম এরা কেবল সাধারণ শিক্ষার্থী! বিস্ময়কর বিষয় হলো এগুলো সে নিজেই স্বীকার করছে অথচ কেউ তাকে আজ পর্যন্ত এই প্রশ্ন করে নাই!

বিএনপিকে যে কারণে ডিফেন্ড করা উচিত

বিএনপিকে ডিফেন্ড করা আমার কাজ না। কিন্তু যাদের কাজ ডিফেন্ড করা, সেসব সক্রিয় নেতাকর্মীরা তো পারে না করতে। এরা বুঝেই না কিছু, জানেই না কখন কি করা উচিত। বেশিরভাগ নিজ পকেট ভরার ধান্দায় রাজনীতি করে। শুধুমাত্র এই কারণে আমাদের মতো মানুষদের ন্যারেটিভ চেঞ্জ করতে সাহায্য করা লাগে মাঝে মাঝে। এই কাজটা কিন্তু মূলত দলের নেতাকর্মী আর সকল সদস্যদের। আর ব্যক্তিগতভাবে আমার সফট কর্ণার এখনো মূলত জিয়া পরিবারের দিকে। স্থায়ী কমিটি আর নির্বাহী কমিটির সদস্যরা বেঈমানী করতে পারে যার যার স্বার্থে, জিয়া পরিবার বাংলাদেশের প্রশ্নে কখনো করে নাই। ভবিষ্যতেও করবে না, এটা আমার বিশ্বাস।

ভন্ড এক্টিভিস্ট / ইউটিউবার

বাংলাদেশে একজন হিন্দু ইউটিউবার/এক্টিভিস্ট যে কিনা ইসলামিস্টদের বিক্রি করে জনসমর্থন আদায় করতে চায়, সে খোদ ইসলামিস্ট নেতাদের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়। তার কাজই হচ্ছে সহজ-সরল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা এবং মাদ্রাসার লোকজন তার কথায় সাড়াও দেয়। কিন্তু এখানেও মূল বিষয় হচ্ছে সে বাংলাদেশে একজন আসামী ছিল যার কারণেই মূলত সে দেশত্যাগ করছে এবং এখন সে-ও ইউরোপের একটা দেশের নাগরিক। ভবিষ্যতে কখনো সে বাংলাদেশে আসবেই না, আসলেও কয়েক মাসের জন্য আসবে। তার কথা কোন কোন গোষ্ঠীর মানুষ শোনে এবং শোনার পর তা আমলেও নেয় এগুলো তো কারো অজানা থাকার কথা না। এসব কারণেই যুগে যুগে ইসলামিস্টরা এখানে কিচ্ছু করতে পারে নাই, অদূর ভবিষ্যতে পারবে বলেও মনে হয় না যদি এ ধরনের লোকজনের কথা শুনে রাজনীতি করে কিংবা এদের ফাঁদে পা দিয়ে বসে থাকে।

রাষ্ট্রের আদালত

যে কোনো মামলার রায় যদি পাবলিকই দিয়া দেয় তাইলে আর বিচার বিভাগ আছে কি করতে? পাবলিক পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিতে পারে, কিন্তু উপসংহারে তো পৌঁছাতে পারে না।