বাংলাদেশের একজন সাধারণ ছেলের সাংবাদিক হয়ে উঠার অদ্ভুদ কাহিনী | A Struggling Strange Story Of A Successful Journalist Of Bangladesh
অদ্ভুদ এই সমাজে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার বাদে অন্যান্য পড়ালেখার নামে মাত্র দাম। অন্তত দেশের বড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে। পাবলিকে চান্স পাইলে পাও না পাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করে দেখছি না। কিন্ত সেখানে সকল সাবজেক্ট নেই। তাই অনেক কষ্ট করে রীতিমত যুদ্ধ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম নিয়ে পড়লাম। পড়াকালীন ও অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হয়েছে। বাবা মা কে বোঝানো যায় কি নিয়ে পড়তেছি, কিন্তু আস্থা আনানোটা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। ধরেন যেদিন থেকে ভর্তি হইছি ওইদিন থেকেই আগুন। তার উপর আলতো করে কেরোসিন ঢেলে দেয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীসহ বাবার কলিগরা।
'কি সাবজেক্টে পোলারে দিছেন! সাংবাদিকতা করবো? দাম আছে?' এরকম আরো হরেক রকমের কথা!
আর আমার বাবা মা অবুঝের মতই ওইসব আমলে নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করতো প্রায়শই। এমন অশান্তিতে গেছে ভার্সিটি জীবন।
কথাগুলো বলার পেছনের কারন হলো আজ লাইফের ফার্স্ট স্যালারি পাইছি। মানে চাকরি জীবনের প্রথম বেতন! তো বাসায় ফোন দিয়ে বাবা মাকে বললাম যে তোমাদের ব্যর্থ করিনাই। ধন্যবাদ সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ আমার আমার বড় চাচাতো ভাইকে যার অনেক বড় অবদান আমার জীবনের রোল মডেল হিসেবে এবং আমাকে আমার মত চলার স্বাধীনতার বিষয়কে বাবা-মা কে বুঝানোর জন্য। ধন্যবাদ সেই সব বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়র, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন যারা আমাকে সাপোর্ট করেছেন, ধন্যবাদ সকল শিক্ষককে, ধন্যবাদ সকল একাডেমিক প্রতিষ্ঠানকে।
ধন্যবাদ আমার প্রতিষ্ঠানকে আমার উপর ভরসা রাখার জন্য।
অশেষ ধন্যবাদ।
(কিছুটা শো অফ করার জন্য দুঃখিত। কিন্তু কথাগুলো বলার দরকার ছিল। কোন কিছুই তুচ্ছ নয় জগতে, সকল ধরনের চেষ্টার জন্য চাই শুধুমাত্র সহযোগিতার মনমানসিকতা।)
- লিখেছেন আমার খুব কাছের বন্ধু মীর ওয়াদুদ ইসলাম
আরও দেখুন...