বাংলাদেশীরা ঐতিহাসিকভাবে বিদ্রোহী
"বাঙালিরা কিছু করতে পারে না। গণতান্ত্রিক সভ্যতা পিকে উঠার পেছনে সবকিছু গ্রীক, ফ্রেঞ্চ, তুর্কী আর ইউরোপীয়ানরা করেছে।" এটা ভুল ধারণা।
আনুমানিক ৮০০-৯০০ বছর আগে আমাদের এ অঞ্চলের নাম ছিল বুলগাকপুর। বুলগাকপুর মানে হচ্ছে 'বিদ্রোহের শহর বা নগরী"। এ নাম দেওয়া হয়েছিল কারণ তখন এ অঞ্চলের মানুষ কথায় কথায় দিল্লীর শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসতো। ওরা তখন থেকেই দিল্লীর শোষণ আর তাবেদারি মানতো না।
আমাদের পূর্বপুরুষরা অনেক আগে থেকেই বিদ্রোহী।আর রিসেন্ট টাইমে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর দেখেন ২০-২৫ বছর পর পর কিন্তু গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব হয়েছে এ অঞ্চলেই। স্বাধীন বাংলাদেশেই একবার বিপ্লব এবং দুইবার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কিছু না বুঝলে এগুলো হতো না। অধিকার সম্পর্কে এদের যথেষ্ট ধারণা আছে।
কিন্তু সমস্যা একটা জায়গাতেই। আমরা ভালোভাবে ভাঙতে তো পারি কিন্তু গড়ার সময় আমরা কেন যেন বারবার আলাদা হয়ে যাই এবং এক হয়ে থাকতে পারি না, কাছাকাছি পর্যায়ের মানসিকতা নিয়ে থাকতে পারি না। ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে আবার কোনো এক সময় বিদ্রোহ করতে হয়।
তবে এবার আমি অন্তত আশাবাদী যে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যদি একতা ধরে রাখা যায় এবং তাদেরকে যদি বাংলাদেশে রাজনীতির জন্য আর কোনো সুযোগ না দেয়া যায় তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো গণঅভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লবের প্রয়োজন পড়বে না।
কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পেয়ে আবার কখনো ফিরে আসে তাহলে এদের বিরুদ্ধে আরেকটা গণঅভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব হবেই।